ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড় ইউনিয়নের ভিজিএফ’র সুবিধাভোগি ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ভিজিএফ বিতরনের মাষ্টার রোলে ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে মর্মে টিপসহি রাখলেও চাল দেওয়া হচ্ছে নয় কেজি করে। জানাগেছে, ঈদে দুঃস্থদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় বাটাজোড় ইউনিয়নে ২৯৫০ জন দুঃস্থদের বিপরীতে ২৯.৫০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় সে হিসেবে ইউপির স্লিপধারী প্রতিজনের নামের পরিবর্তে ১০ কেজি চাল বরাদ্দের কথা থাকলেও নয় কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে বাটাজোড় ইউনিয়নের স্লিপধারীদের চাল স্থানীয় এক ইউপি সদসস্যের সম্মুখে ডিজিটাল পরিমাপযন্ত্রে মাপ দেওয়া হলে নয় কেজির বেশি পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাল বিক্রি করেনা এমন একজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, উপজেলার বাটাজোড়, বার্থী, চাঁদশীসহ একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানরা দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের একটা অংশ অভিনব কৌশলে অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গুদামে বিক্রি করে যায়। যা সাধারণ আমজনতার ধরার কোন উপায় থাকেনা। ফলে ঘাটতিপূরন করতেই সুবিধাভোগিদের চাল কম দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, খাদ্যগুদামে চাল বিক্রি না করার কারনে অনেক সময় অন্যান্য চেয়ারম্যানদের কাছে তাকে রোষানলে পড়তে হয়। এমনকি খাদ্যগুদামের লোকজনও দ্বারাও বৈরি আচরনের স্বীকার হতে হয়। গুদামে চাল বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে বাটাজোড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার জানান, আমার বিরুদ্ধে চাল বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আরও জানান, যদি কেউ প্রমান করতে পারে তাহলে জনপ্রতিনিধিত্ব ও রাজনীতি ছেড়ে দেব। চাঁদশী ও বার্থী ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন জানান, ভিজিএফের পুরো চালই বিতরণের জন্য। এবিষয়ে কোন প্রকার অনিয়ম পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।