বরিশাল সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় দিন শনিবার দিবাগত রাতে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ওই তিনজনকে রবিবার সকালে পৌরসভার রড়কসবা এলাকার একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় সন্দীগ্ধ আসামি হিসেবে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করেন।
বিস্ফোরক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে পৌরসভার আশোকাঠী অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক মামলায় সন্দীগ্ধ আসামি হিসেবে সরকারি গৌরনদী কলেজ সংসদের সাবেক জিএস ও ছাত্রদলের কলেজ শাখার আহবায়ক সোহানুর রহমান সোহান (৩৫), টরকী বাসষ্ট্যাস্থ মাঝী এন্টারপ্রাইজ থেকে বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ বারেক মাঝী (৪৮) ও সুন্দরদী মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রাজু বেপারী ওরফে সাহাবুদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সাহানাজ সরদার ও তার পুত্র ইউসুফ সরদারকে ট্রলার থেকে চাঁদা উত্তোলণে বাঁধা দেন ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন। এতে পৌর কাউন্সিলর খায়রুল খান ক্ষুব্ধ হয়ে ১০ থেকে ১২ জনে মিলে আলাউদ্দিনকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন বাদী হয়ে খায়রুল খানসহ ১১ জনকে আসামি করে ২ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি খায়রুল খানের পক্ষ হয়ে তার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরাত খান বাদি ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে পাল্টামামলা দায়ের করেন।