বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির অখিল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চত্বরের গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অখিল দাস নিয়মবর্হিভূত ভাবে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাছরিন শুক্রবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাটা গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্যর জিম্মা দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে পুরানো মেহগনি, রেন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয় । নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। এই সুযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সভাপতি ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অখিল চন্দ্র দাস বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিনের যোগসাজসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় চাত্বরের ৭টি মেহগনি ও রন্ট্রি গাছ স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী মো. সামু ফকিরের কাছে এক লক্ষ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. ফরিদ হোসেন বেপারী (৩৫) ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন (৩৮) অভিযোগ করেন, সভাপতি অখিল চন্দ্র দাস স্কুলের গাছ আত্মসাত করতেই অনিয়ম করে গাছ বিক্রি করেছে। গত ৬/৭দিন ধরে গাছ ব্যবসায়ী সামু ফকির গাছ কাটতে শুরু করলে খবর পেয়ে আমরা গাছ কাটতে বাধা দেই। তা উপেক্ষা করে অখিল দাসের নির্দেশে তার লোকজন গাছ কাটা অব্যহত রাখেন। বৃহস্পতিবার এলাকাবাসি ও অভিভাবকরা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা অখিল দাস গাছ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন। খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি মো. নুর আলম সেরনিয়াবাত গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাসরিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেটে ফেলা ৫৬ টুকরা গাছ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও আওয়ামীলীগ নেতা কালু হাওলাদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাকি গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।