নিউজ ডেস্ক: জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গৌরনদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের কর্মচারী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার গৌ-হার গ্রামের মৃত কাসেম সিকদারের পুত্র রতন সিকদারের সঙ্গে একই উপজেলার প্রতিপক্ষ হারুন আর রশিদ(৬৫), রাসেল বেপারী(৩০), বেল্লাল বেপারী (২৮), কাওছার বেপারী(৬৫), ফয়সাল কারিকর(২৬), মাজহারুল কারিকর(২৫)র সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। রতন সিকদার অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সে নিজ বসত ঘর সংলগ্ন সম্পত্তিতে থাকা গাছের ডালপালা কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ হারুন আর রশিদ(৬৫), রাসেল বেপারী(৩০), বেল্লাল বেপারী(২৮), কাওছার বেপারী(৬৫), ফয়সাল কারিকর(২৬), মাজহারুল কারিকর(২৫)সহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় ধারাল অস্ত্র শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল ঘুশি, লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আমাকে জখম করতে গেলে আমাকে রক্ষায় আমার স্ত্রী বুলু বেগম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাথারী পিটাইয়া ও কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা, ফুলা জখম করে। ৩নং বিবাদী আমার স্ত্রীর পড়নের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। মারধরের এক পর্যায় ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা দা দিয়া খুনের উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীর মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দিলে উক্ত কোপ তাহার নাকের নিচে বাম পার্শ্ব লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রতন সিকদার বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ রাজ্জাক মোল্লা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।