বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আদালতের নির্দেশের ১৩ দিন পরেও থানায় মামলা এজাহারভূক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রতœপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হোসনেয়ারা বেগমের পুত্র রতন সেরনিয়াবাতের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী (বরিয়ালী গ্রামের) শাহিন আলম টেনুর পুত্র সজিবের বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব বিরোধের জেরধরে গত ২৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রতন, তার মা সাবেক চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম, বোন জামাতা সুমনসহ সাতজন রক্তাক্ত জখম এবং প্রতিপক্ষ সজিবসহ পাঁচজন আহত হয়। উভয়পক্ষের গুরুতর আহতদের ঢাকা, বরিশাল ও আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, হামলার ঘটনায় আহত রতনের বোন লাইজু খানম চাঁপা বাদী হয়ে সজিব, তার পিতা শাহিন আলম টেনুসহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ১ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন (সিআরকেস নং ২/২০১৮)। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারভূক্ত করার জন্য আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। লাইজু খানম চাঁপা অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশ গত ৩ ফেব্রুয়ারী আগৈলঝাড়া থানায় আসা সত্বেও অদ্যবর্ধি থানার ওসি মামলাটি এজাহারভূক্ত (রেকর্ড) করেননি। উল্টো সজিবের পিতা শাহিন আলম টেনুর থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ আহত রতন সেরনিয়াবাতকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। বর্তমানে সে (রতন) কারাগারে থাকলেও আদালতে দায়ের করা মামলা থানায় এজাহারভূক্ত না করায় আসামি শাহিন আলম টেনু, সজিবসহ অন্যান্যরা বীরপর্দে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে শুনেছি। আদালতের নির্দেশের কপি আমার কাছে আসলে অবশ্যই মামলা রেকর্ড করা হবে।