নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার লক্ষ্যে তারা সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। শুক্রবার দুপুরে বরিশাল আ লিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বরিশালে খুবই শান্ত ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। আমি আশা করি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে। মতবিনিময় সভায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, বাসদ’র ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী, সিপিবি’র এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভোটারদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। সব প্রার্থীই চান এবং বলেন বিজয়ী হবেন কিন্তু কে বিজয়ী হবেন সে রায় জনগণই দেবেন। শুক্রবার দুপুরে আ লিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, নির্বাচনে অবশ্যই অভিযোগ থাকবে, তবে শঙ্কা থাকার মতো কোন ঘটনা বরিশালে এখনও ঘটেনি, বরিশালের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। তারপরেও যারা শঙ্কার কথা বলছেন তারা যদি বলার জন্য বলেন, সেটা ভিন্ন কথা। তবে যেহেতু এটা প্রশাসনের বিষয় তাই তারাই এর উত্তর দেবেন। তিনি আরও বলেন, আমরা নয়টির মতো লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে যতোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করুক আমরা নির্বাচনের শেষসময় পর্যন্ত মাঠে থাকবো। আমরা যেখানেই যাই পুলিশ সেখানে গিয়ে বাঁধা দিয়ে উঠান বৈঠক ও সভা ভেঙ্গে দিচ্ছে। রাতে নেতাকর্মীদের বাসায় হানা দিয়ে এ পর্যন্ত ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের বাসায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সরোয়ার আরও বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের মুক্তির জন্য আমাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।