বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মটরসাইকেলসহ ৩ বখাটেকে ধরে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছে স্থানীয়রা। গুরুতর ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত স্কুল ছাত্রীর পাশে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস। বখাটেদের মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরে করা হয়েছে। স্থানীয় ও স্কুল ছাত্রী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের রাধিকা গাইনের মেয়ে ও বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্যন্যা গাইন ও একই এলাকার চৈতী বাড়ৈ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাচ্ছিল। বাশাইল-চেঙ্গুটিয়া-টরকী সড়কের কান্দিরপাড় নামক স্থানের ফাঁকা জায়গায় দুই স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের শাহজাহান মেলকারের বখাটে ছেলে শুভ মেলকার, ইল্লা গ্রামের মাজেদ সরদারের বখাটে ছেলে সজিব সরদার ও ডাসার ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরগাতী গ্রামের মোবারক চৌকিদারের বখাটে ছেলে সাগর চৌকিদার স্কুল ছাত্রী অন্যন্যা গাইনকে ঝাপটে ধরে তাকে যৌন হররানি করে। এ সময় চৈতী বাড়ৈ দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আসার পূর্বে মটরসাইকেলসহ ৩বখাটে পালানোর সময় চেঙ্গুটিয়া বাজার থেকে স্থানীয়রা ধরে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.ইলিয়াস তালুকদারের কাছে দেয়। গুরুতর ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রথমে বাশাইল ফেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ওই স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এসআই শাহানুর ও মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৩জনকে থানায় নিয়ে আসে। ওইদিন রাতেই ছাত্রী বাদী হয়ে তিন বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।