সবচেয়ে বড় বরিশাল মহাশ্মশানে দীপালী উৎসবে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বুধবার
(১৮ অক্টোবর) সন্ধার পর পরেই মোমের আলোয় বর্ণিল হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরীর
মহাশ্মশান।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কালি পূঁজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে
পূজা অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই আত্মার
শান্তি কামনার পাশাপাশি প্রয়াত প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে তার সমাধিস্থলে নিবেদন
করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা ধরনের খাবার। সমাধির পাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে
প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন স্বজনরা।
গতকাল
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে লগ্ন (তিথি) শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার রাত ১২টা
২ মিনিটে। এ কারণে বুধবার বিকেল থেকেই নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে মানুষের
ঢল নেমেছিল। সন্ধ্যা হতে না হতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুণ্ডু জানান,
এশিয়া মহাদেশ তথা পৃথিবীর বৃহত্তম আয়োজন এটি। ভারতে এটি দীপাবলি উৎসব নামে
পরিচিত হলেও বরিশালে শশ্মান দীপালী উৎসব হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
নতুন পুরনো মিলিয়ে মহাশ্মশানে ৬১ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে। এর মধ্যে
৫০ হাজারের অধিক পাকা, ১০ হাজার কাঁচা মঠ এবং ৮০০ মঠ রয়েছে যাদের স্বজন এই
দেশে নেই। সেসব মঠগুলো হলুদ রঙ করা হয়েছে। স্বজন না থাকা মঠগুলোতে কমিটির
পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।